25000 BDT USED FULL PC UP FOR SALE
প্রথম কথা হলো, প্রাইস-টু-পারফর্মেন্স বিবেচচনা করলে ডেক্সটপ সবসময় এগিয়ে থাকবে ল্যাপটপের চেয়ে। যদি আমরা একই দামে একটা ল্যাপটপ আর একটা ডেক্সটপ কিনি, তাহলে দুটোর মাঝে পার্থক্য কিছুটা এমন হবে:
ল্যাপটপের ভাল দিকগুলো:
১. বহন করা খুবই সহজ।
২. ব্যাটারি ব্যাকআপ রয়েছে, তাই কারেন্ট চলে গেলে বা বাইরে থাকলেও চালানো যায় সহজেই।
৩. ছোটখাটো এবং আকর্ষনীয়।
ল্যাপটপের খারাপ দিকগুলো:
১. রিপেয়ার করা ঝামেলা; সাধারণতই আমাদের রিপেয়ার শপে যেতে হয়, নিজে নিজে সার্ভিস করাটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কঠিন, আর সার্ভিসিং এর খরচও ডেস্কটপের তুলনায় বেশি।
২. পারফর্মেন্স কম দেয়, একই দামের একটি ডেস্কটপের তুলনায়।
৩. ডেস্কটপের তুলনায় কম সময় টিকে।
৪. খুব বেশি আপগ্রেড করা যায় না।
ডেস্কটপের ভাল দিকগুলো:
১. ভাল পারফরর্মেন্স দেয়, একই দামের একটি ল্যাপটপের তুলনায়।
২. রিপেয়ার করা সহজ এবং সাশ্রয়ী; সাধারণত প্রফেশনাল টেকনিশিয়ানের কাছে যাওয়াই লাগে না।
৩. সাধারণত ল্যাপটপের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি হয়ে থাকে।
৪. সহজেই আপগ্রেড করা যায়।
ডেস্কটপের খারাপ দিকগুলো:
১. সাধারণত বহন করা যায় না। তবে চাইলে কাস্টমাইজ করে বা ছোট পার্টস ও কেসিং ব্যবহার করে বহনযোগ্য করা সম্ভব।
২. কারেন্ট চলে গেলে ব্যবহার করা যায় না, তবে ইউপিএস ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে, কারেন্ট যাওয়ার পর কিছুটা ব্যাকআপ পাওয়ার জন্য।
৩. ডেক্সটপ দেখতে ল্যাপটপের মত আকর্ষণীয় না, তবে কাস্টমাইজ করে এটা ল্যাপটপের চেয়েও আকর্ষণীয় বানানো সম্ভব।
মোটকথা:
সহজে বলতে গেলে, ডেক্সটপ তুলনামূলক ভাল পারফর্মেন্স, সহজ রিপেয়ার ও দীর্ঘমেয়াদ দেয়, যেখানে ল্যাপটপ খুবই বহনযোগ্য ও স্টাইলিশ আর বাইরেও ব্যবহারযোগ্য। নির্ভর করবে, আমরা কি বহনযোগ্যতা চাই নাকি পারফর্মেন্স।
আমরা আমাদের পিসি বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যবহার করে থাকি, প্রতিটি কাজের ওয়ার্কলোড অনুযায়ী তাদের শ্রেণীবদ্ধ করা যায়। যতো বেশি ওয়ার্কলোড, পিসিতে ততো বেশি পারফরম্যান্স থাকা প্রয়োজন।
১. লো ওয়ার্কলোড:
সাধারণ অফিসিয়াল কাজকর্ম (যেমন: MS Word, Excel, PowerPoint, Google Docs, Sheets, Slides ইত্যাদি)
বেসিক ওয়েব ব্রাউজিং
অনলাইন ক্লাস অথবা মিটিং
ভিডিও দেখা বা অডিও শোনা
ওয়েব ডিজাইন শেখা
২. মিডিয়াম ওয়ার্কলোড:
প্রোডাক্টিভিটি সফটওয়্যার শেখা বা সাধারণ প্রয়োজনে তা ব্যবহার করা (যেমন: Adobe Photoshop, Illustrator, Premiere Pro, After Effects ইত্যাদি)
মধ্যম পর্যায়ের গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করা
বেসিক ভিডিও এডিটিং করা
ওয়েব ডিজাইন করা
লো গ্রাফিক্সে গেম খেলা
৩. হাই ওয়ার্কলোড:
প্রফেশনালি গ্রাফিক ডিজাইন করা
মধ্যম পর্যায়ের ভিডিও এডিটিং ও মোশন গ্রাফিক্সের কাজ করা
থ্রিডি মডেলিং শেখা ও বেসিক লেভেলের কাজ করা (যেমন: Blender, 3DS Max ইত্যাদি)
ওয়েব ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট করা
মিডিয়াম গ্রাফিক্সে AAA গেম খেলা
৪. এডভান্স ওয়ার্কলোড:
প্রফেশনালি ভিডিও এডিটিং ও মোশন গ্রাফিক্সের কাজ করা
Deep Learning, Machine Learning, Large-Scale Data Analysis ইত্যাদি জটিল প্রোগ্রামিংয়ের কাজ করা
প্রফেশনালি থ্রিডি মডেলিং ও এনিমেশনের কাজ করা
ম্যাক্সিমাম গ্রাফিক্সে AAA গেম খেলা
শেষকথা:
ওয়ার্কলোড যত বেশি হবে, পিসির পারফরমেন্স তত ভালো হতে হবে। আর পারফরমেন্স যত ভালো প্রয়োজন, পিসি কেনার বাজেট তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। উপরের আলোচনাটি ভালভাবে বুঝে থাকলে বাজেট নির্ধারণ করা আমাদের জন্য সহজ হয়ে যাবে। গেমিং এর বেপারটি উল্যেখ না করলেই নয়, কারণ পিসি মার্কেটের একটি বড় অংশ শুধুমাত্র গেম খেলার জন্যই পিসি কেনে।
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি, পিসিতে পারফরমেন্স যত ভালো প্রয়োজন, তা কেনার বাজেট তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। তবে, আমরা পিসির যে পার্টগুলো কিনব তার কন্ডিশনের উপর নির্ভর করে মূল্য কমবেশি হতে পারে। যেমন: নতুন, পুরাতন, অফিসিয়াল, আন-অফিসিয়াল, ব্যবহিত ইত্যাদি।
নিচে বাংলাদেশের বর্তমান মার্কেটের প্রাইসিং মাথায় রেখে, ভালো ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট দিয়ে হিসাব করে আনুমানিকভাবে একটি মুল্যতালিকা উল্যেখ করা হল। যা আপনার বাজেট নির্বাচনে সহায়ক হবে। উল্লেখ্য, নিচের মূল্যগুলো মনিটর, কিবোর্ড ও মাউস সহ হিসাব করা।
সব নতুন পার্টস দিয়ে:
লো ওয়ার্কলোড: প্রায় ৩০০০০ টাকা
মিডিয়াম ওয়ার্কলোড: প্রায় ৪৫০০০ টাকা
হাই ওয়ার্কলোড: প্রায় ৭৫০০০ টাকা
এডভান্স ওয়ার্কলোড: ৯০০০০ টাকা থেকে শুরু
সব ব্যবহিত পার্টস দিয়ে:
লো ওয়ার্কলোড: প্রায় ২০০০০ টাকা
মিডিয়াম ওয়ার্কলোড: প্রায় ৩০০০০ টাকা
হাই ওয়ার্কলোড: প্রায় ৫৫০০০ টাকা
কিছু নতুন ও কিছু পুরাতন পার্টস দিয়ে:
লো ওয়ার্কলোড: প্রায় ২৫০০০ টাকা
মিডিয়াম ওয়ার্কলোড: প্রায় ৩৫০০০ টাকা
হাই ওয়ার্কলোড: প্রায় ৬৫০০০ টাকা
বি. দ্র.
দ্বিতীয় ও তৃতীয় ক্যাটাগরিতে এডভান্স ওয়ার্কলোড এর কথা উল্যেখ না থাকার কারণ হল, সাধারণত বাংলাদেশে যারা বেশি টাকা খরচ করে পিসি বানায়, তারা সব নতুনই নেয়ার চেষ্টা করে।